চট্টগ্রামের হোটেল সৈকত। ষষ্ঠতলায় জনাকয়েক সাংবাদিক ক্যামেরা তাক করে অপেক্ষায়। শরিফুল রাজ-পরীমণি দম্পতি আসবেন। রাত ১১টা পেরিয়ে গেছে। লিফটের দরজা খুলতেই উঁকি দিল হাসিমুখ। শীতপোশাকে মুড়ে রাজ-পরী এলেন। পরীর কোলে রাজ্য। ভীষণ শান্ত। এত মানুষ দেখেও, এত ক্যামেরার আলোর সামনে এসেও আশ্চর্য নির্বিকার। চোখে বিস্ময় নিয়ে একে ওকে দেখছে আর হাই তুলছে মাঝেমধ্যে।
পরীমণির পুরোটা সময় এখন শুধুই ছেলে রাজ্যর জন্য। রাজ্যর বয়স চার মাস চলছে। মায়ের কোলেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে সে। নতুন নতুন শব্দ শিখছে। এখনো কথা বলতে পারার মতো বয়স হয়নি তার, তবে মাঝেমধ্যেই এলোমেলো উচ্চারণে এটা-ওটা বলতে চায়। সে সব অস্ফুট শব্দ শুনে পরীমণির আনন্দ দেখে কে! প্রতিদিন মা হিসেবে তাঁর নতুন করে জন্ম হয়। রাজ্যর গোসল, খাওয়ানো থেকে শুরু করে পটি পরিষ্কার, ডায়াপার বদল—সব কাজ নিজ হাতেই করেন পরীমণি। সন্তানের জন্মের পর এখন পর্যন্ত চোখের আড়াল হতে দেননি। যেখানেই গেছেন, রাজ্য ছিল সঙ্গে।
চোখমুখে আনন্দের আভা নিয়ে পরীমণি বলছেন, ‘এখন অব্দি আমার জীবনে মাতৃত্বের এই সময়টিই সবচেয়ে সুন্দর পার্ট। আমার সবই এখন রাজ্যকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। ও কখন খাবে, কখন ঘুমাবে, ওর এভরিথিং—এটা নিয়েই থাকি সারাক্ষণ।’
সন্তানের জন্মের পর এখনো ক্যামেরার সামনে আসেননি পরীমণি। ভক্তরা অপেক্ষায় আছেন, কবে আবার সিনেমার চরিত্র হয়ে দর্শকদের সামনে আসবেন পরী! রাজ বললেন, ‘মাতৃত্বের সময়টা ও দারুণ এনজয় করছে। ওর কাজে ফেরার জন্য আমিই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি ইন্সপায়ার করি। ও বিউটিফুল আর্টিস্ট, ও কামব্যাক করলে দর্শকেরা ভালো কিছু পাবেন।’
এই যখন অবস্থা, তখন পরীমণির পক্ষে অভিনয় চালিয়ে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। সন্তানের জন্মের পর তাই এখনো ক্যামেরার সামনে আসেননি তিনি। তবে ভক্তরা অপেক্ষায় আছেন, কবে আবার সিনেমার চরিত্র হয়ে দর্শকদের সামনে আসবেন! প্রসঙ্গ তুলতেই পাশ থেকে রাজ বললেন, ‘মাতৃত্বের সময়টা ও দারুণ এনজয় করছে। ওর কাজে ফেরার জন্য আমিই বোধ হয় সবচেয়ে বেশি ইন্সপায়ার করি। ও বিউটিফুল আর্টিস্ট, ও কামব্যাক করলে দর্শকেরা ভালো কিছু পাবেন।’
রাত বাড়ছে। রাজ-পরী দম্পতি নিজেদের হোটেলে ফিরে যাবেন। বিদায় নেওয়ার আগে পরীর কাছে একটা প্রশ্ন রাখা হলো, রাজ্যকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা? বড় হয়ে সে কী হবে? বরাবরের মতোই পরীমণির স্পষ্ট জবাব, ‘ও একটা ভালো মানুষ হবে। ও কী করবে, সেটা বড় হয়ে সে-ই ডিসাইড করবে।’