হোম > ছাপা সংস্করণ

ইসলামে বিধবার অধিকার

মুনীরুল ইসলাম

আমাদের সমাজে বিধবারা ভীষণভাবে অবহেলিত। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক বিধবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন না। অথচ তাদের বিয়ে করা ইসলাম অনুমোদন করে। মহানবী (সা.)-এর স্ত্রীদের মধ্যে আয়েশা (রা.) ছাড়া অন্য সব স্ত্রী ছিলেন বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত। তিনি প্রায় দ্বিগুণ বয়সী বিধবা হজরত খাদিজা (রা.)-কে প্রথম বিয়ে করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর যাঁদের বিয়ে করেন, তাঁদের আটজনই ছিলেন বিধবা।

বিধবার অধিকার ও মর্যাদা ইসলামে স্বীকৃত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যাবে, তাদের স্ত্রীদের কর্তব্য হলো চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এরপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন তারা নিজেদের ব্যাপারে বিধিমতো ব্যবস্থা নিলে তাতে কোনো পাপ নেই। আর তোমরা যা করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবগত আছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৩৪)

স্বামীর মৃত্যুর পর তারা এক বছর পর্যন্ত ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার রাখে। বিয়ের সময় স্বামীর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত মোহরানা, স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি এবং পিতার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্পদ নারীদের একান্তই নিজেদের। বিধবাদের মধ্যে যারা সন্তানদের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করা থেকে বিরত থাকেন, তাদের মর্যাদা ঘোষণা করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বংশীয় কৌলীন্য ও সৌন্দর্যের অধিকারী যে বিধবা প্রয়োজন সত্ত্বেও এতিম সন্তানদের লালনপালনের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয়বার স্বামী গ্রহণ থেকে বিরত থাকে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে দুই আঙুলের মতো কাছাকাছি থাকব।’ (আবু দাউদ)

তা ছাড়া, যে সকল বিধবার বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেছে এবং তাদের কোনো সন্তানও নেই, তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া অনেক বড় পুণ্যের কাজ বলে ঘোষণা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। অতএব বিধবাদের প্রতি সদয় আচরণ সব মুমিনের একান্ত কর্তব্য।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ