গৌরীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সহিংসতা। নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হুমকিসহ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে উপজেলায়। পৃথক স্থানে নির্বাচনী কার্যালয় পোড়ানো, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে সিধলা ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মো. শামছুদ্দিনকে হুমকি দিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে শেখ মো. শামছুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে হুমকি দিয়েছে।’ এই ঘটনায় তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীনের কর্মীদের দায়ী করেন। তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জয়নাল আবেদীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাংনামারী ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সার্জেন্ট (অব.) নূরুল ইসলাম আকন্দের নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. সামীউল আলম লিটন ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় পরিদর্শন করে ঘটনার বিচার দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সহনাটি ইউপির জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শামসুজ্জামান জামালের প্রচার বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেন দুর্বৃত্তরা। এ জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন তিনি।
গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, সিধলা ও ভাংনামারীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামীকাল রোববার উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার রাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনের প্রচার।