ময়মনসিংহের ভালুকায় খিরু নদীতে বাঁধ দিয়ে রাস্তা বানানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী। উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের সাতেঙ্গা কোঁচকালী গুদারা ঘাট নামক স্থানে রাস্তার নির্মাণকাজ চলছে। এতে চলতি বোরো চাষে খেতে পানি জমে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
প্রশাসন বলছে, জনগণের অসুবিধা হয় এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে খিরু নদীর কোঁচকালি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২০ ফুট প্রস্থ ও ১০-১২ ফুট উচ্চতায় নদীর মাঝখানে মাটি ফেলে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অবৈধ কাজ বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গ্রামের এমরান, সাদিক, আলম ও শারফুলের নেতৃত্বে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করছেন। এই রাস্তা দিয়ে ডাম্প ট্রাক ভরে মাটি পারাপার করবেন ওই সব মাটি ব্যবসায়ী। শুষ্ক মৌসুমে নদীর তলদেশে জমে থাকা পানি সেচ দিয়ে চাষিরা বোরো আবাদ করেন।
কৃষক আশরাফুল আলম বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা নদীতে মাটি ফেলে ভরাট শুরু করলে তাঁরা বাধা দেন। কৃষকের বাধা উপেক্ষা করে তাঁরা মাটি ফেলেই যাচ্ছেন। তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে ভালুকা মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাটি ফেলতে নিষেধ করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর তাঁরা পুনরায় মাটি ফেলা শুরু করেন।
কৃষক হারুন অর রশীদ বলেন, তাঁদের দুই ভাইয়ের আট একর জমিতে তাঁরা বোর আবাদ করেন। বাঁধের কারণে উজানে পানি জমে বোরো ধানের বীজতলা ও বোরোখেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মাটি ব্যবসায়ী আলম ও শারফুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। মল্লিকবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকরাম হোসাইন বলেন, ‘তিনি খিরু নদীতে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। জনগণের অসুবিধা হয় এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’