হোম > ছাপা সংস্করণ

একে তো কোচিং তার ওপর বেত্রাঘাত

সম্পাদকীয়

কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রকে পিটিয়েছেন শিক্ষক। তারপর আবার আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে বলেছেন, ওকে তিনি মারেননি। মেরেছেন অন্য এক ছাত্রকে, আর তাতে এই ছেলেটির হাতে একটু লাগতে পারে। শিক্ষকের কথা শুনে হাসব না কাঁদব, বুঝতে পারছি না।

প্রকৃত শিক্ষার সঙ্গে কোচিং সেন্টার বাণিজ্যটা সাংঘর্ষিক। স্কুলে বাচ্চারা যায় পড়াশোনা করতে। পড়াশোনার জন্য যে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম থাকে, তা স্কুলেই সম্পূর্ণ করার নিয়ম। এই দায়িত্ব স্কুলের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের ওপর বর্তায়। কিন্তু অনেক শিক্ষকই স্কুলে না পড়িয়ে এই দায়িত্বটা পালন করতে চান নিজস্ব কোচিং সেন্টারে। সেসব শিক্ষকের কাছে ‘প্রাইভেট’ পড়তে বা ‘কোচিং’ করতে না গেলে শিক্ষার্থীরা নির্ঘাত কম নম্বর পায় স্কুলের পরীক্ষায়। স্কুল-কোচিংয়ে দৌড়ে শিক্ষার্থীরা যে বাসায় গিয়ে নিজের মতো করে পড়াশোনা করবে, গল্পের বই পড়বে কিংবা কোনো সৃজনশীল কাজের চর্চা করবে, সেই সময়টা তাদের আর হয় না। শৈশবটা কেটে যায় আবদ্ধ স্কুল-কোচিংয়ের ঘরে।

ঘটনাটা এক কোচিং সেন্টারের ভেতরেই ঘটেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কোনোভাবে মারা বা বেত্রাঘাত করা যাবে না, সেটাই নিয়ম। কিন্তু চট্টগ্রামের হালিশহরে জে পি ইনোভেটিভ নামে একটি কোচিং সেন্টারে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একটা সময় পড়া না পারলে শিক্ষকেরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করতেন। সেটা বাতিল হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের ওই কোচিংয়ের শিক্ষক আবু সালেহ বেতন দিতে দুই দিন দেরি করায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইশমামকে বেত্রাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রটির মা। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ছাত্রটির মা আরও অভিযোগ করেছেন—বেত্রাঘাত করার ফলে তাঁর ছেলের হাত থেকে রক্ত বের হয়েছে। প্রচণ্ড মারধর করার আগে ঘণ্টাখানেক আটকেও রাখা হয়েছিল ইশমামকে।

অভিযুক্ত শিক্ষক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে যা বলেছেন, তাতে সহজেই প্রমাণিত হয়, শিক্ষার্থীদের মারধর করাটা তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। ‘…অন্য কাউকে মারার সময় তার হাতে একটু লাগতে পারে’—তাঁর বলা এই কথাটিই বুঝিয়ে দেয়, মারধর করে হাত মকশো করা তাঁর অভ্যাস।

ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ছাত্রটির অভিভাবক সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই শিক্ষক তা দেখাতে অস্বীকার করেন। বলেন, আগে থেকে নাকি সিসিটিভি বন্ধ ছিল! সেটাই বা হবে কেন? সিসিটিভি থাকবে অথচ তা কাজ করবে না, এ কেমন কথা?

শিক্ষক আবু সালেহ অষ্টম শ্রেণির ইনচার্জ। কিন্তু তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রকে কেন মেরে রক্তাক্ত করলেন, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি কী বলবেন? পয়সাকড়ি যখন শিক্ষার চেয়ে বড় হয়ে ওঠে, তখনই বুঝি এ ধরনের অনৈতিক কাজ শুরু করে মানুষ। তাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, তাকে আর যা-ই হোক, ইতিবাচক সম্পর্ক বলা যায় না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ