আইসিসির আগামী চার বছরের ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে (এফটিপি) সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (১৫০) পাচ্ছে বাংলাদেশ। ঠাসা এফটিপি সামনে রেখে সংস্করণ ভেদে কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে চায় বিসিবি। সে ক্ষেত্রে কোচিং প্যানেলেও আসতে পারে বড় পরিবর্তন।
এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিসিবি। গতকাল সেটিরই অংশ হিসেবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ঘণ্টাখানেক বৈঠকে সংস্করণভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর সিদ্ধান্ত বিসিবির। পাপন বলেন, ‘শুধু খেলোয়াড় থাকলেই হবে না। কোচিং স্টাফেরও তো দরকার আছে। এখন কোচরা যদি দলের সঙ্গে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় তাহলে আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের কী হবে। ওদের নিয়ে কাজ করবে কে? তাই পুরো পরিকল্পনাটা নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
আগামী চার মাস টি-টোয়েন্টি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে বাংলাদেশ। এই ব্যস্ততার আগে বড়সড় পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। আগামীকাল কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি।
গতকাল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের পাপন বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা শক্তিশালী নই। এটা নিয়ে কী করা যায়, সেটি ভাবতে গিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এশিয়া কাপ থেকে দলের মানসিকতা, চিন্তাভাবনা সবকিছু বদলে ফেলতে চাচ্ছি। আমরা দেখতে চাই নতুন করে শুরু করা যায় কি না।’
নতুন করে শুরুর অংশ হিসেবে খেলোয়াড়দের ‘পাওয়ার হিটিং’ নিয়ে চিন্তা বেড়েছে বিসিবির। টি-টোয়েন্টির বিশেষ এই ব্যাটিং টেকনিক রপ্ত করতে পাওয়ার হিটিং কোচও খুঁজছে বিসিবি। গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজে পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে আলবি মরকেল কাজ করেছিলেন। তবে এখন ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সই পাওয়ার হিটিংয়ের কাজটা করতে চান।
পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে পাপন বলছেন, ‘কদিন আগে জেমি আমাকে বলল, ওর নাকি এটাতে বিশেষ জানাশোনা আছে। আমরা এশিয়া কাপে কিছু পরিবর্তন করে দেখতে চাচ্ছি যে সব ঠিক আছে কি না।’
পাওয়ার হিটিংয়ে আপাতত সিডন্সের ওপর ভরসা রাখলেও সামনের ব্যস্ত সূচিতে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় সরবরাহ ঠিক রাখতেই কোচদের নিয়ে কিছু পরিকল্পনা করছে ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিবির এই পরিকল্পনায় হলে সংস্করণ ভেদে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হতে পারেন দুজন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আগামীকালের বৈঠকের ওপর। এ কারণে গতকাল পাপন একটু রহস্য করেই বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে কাজ করছে কি করছি না, দুই-একদিন অপেক্ষা করেন। দেখবেন এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।’