পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত কলেজছাত্র আমিনুরকে খুন করার ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে খুনের এ ঘটনায় আটক ফয়সালকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা। খুনের দায় স্বীকার করে ফয়সাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক তাকবির হোসেন জানিয়েছেন, ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদের আগড় ঘাটা খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমিনুরের মৃতদেহ ভেসে উঠে। লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য গত রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আমিনুর রহমান (২০) কে গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (২১) আগড়ঘাটা সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের পাড়ে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর মৃতদেহ নদে ভাসিয়ে দেয়। এরপর নিহতের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে তার পিতার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ পাইকগাছা ব্রিজ এলাকা থেকে ফয়সালকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহত কলেজছাত্রের পিতা বাদী হয়ে মঙ্গলবার আটক ফয়সালকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এদিন দুপুরে খুলনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মো. মনিরুজ্জামানের কাছে ফয়সাল দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার কপোতাক্ষ নদ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরত হাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।