শেরপুরের নকলা থানায় দায়ের করা মুনছুর আলী ফকির (৩৬) হত্যা মামলা পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত মুনছুর আলী ফকিরের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর সকালে নকলা থানা-পুলিশ উপজেলার ২ নম্বর নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা নদীরপাড়ে রাস্তার ওপর থেকে মুনছুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু লাশের নাম ও পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় পরবর্তীতে পুলিশ যুবকের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন তার নাম মুনছুর আলী ফকির। সে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কাচিহারা গ্রামের দরিদ্র কৃষক হানিফ উদ্দিন ফকিরের পুত্র। খবর পেয়ে পরের দিন মুনছুরের বাবা হানিফ উদ্দিন ফকির ২ ছেলে মোশারফ হোসেন (২৭) ও রিপন মিয়া (২৪), মুনছুরের স্ত্রী সালমা আক্তার (২৮) এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামসহ (৪৮) নকলা থানায় হাজির হয়ে মৃত দেহের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে মুনছুরের লাশ শনাক্ত করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মুনছুরের স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, তার সঙ্গে বিবাহের পর তিনি মুনছুরকে ভালো মানুষই জানেন। তবে বিবাহের পূর্বে মুনছুর তার বন্ধু ড্রাইভার কালা মনসুর একসঙ্গে একই রুমে ভাড়া থাকতেন।
সে সময় কালা মনসুরকে বেশ কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন মুনছুর। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলে মুনছুরের সঙ্গে কালা মনসুরের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধে ভালুকা স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকার বেশ কয়েকজন ড্রাইভার কালা মনসুরের পক্ষ নিয়ে মুনছুরকে খুনজখমের হুমকি দিয়েছিল বলেও জানান মুনছুরের স্ত্রী সালমা আক্তার।
পরিবারের দেওয়া তথ্য মতে, মুনছুর আলী ১০ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তানের জনক। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে সম্প্রতি সে গার্মেন্টসকর্মী সালমা আক্তারকে বিয়ে করে ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বিভিন্ন যানবাহনে হেলপারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত।