সুনামগঞ্জের ছাতকের খুরমা উত্তর ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকালে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে ছাতক থানা-পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশের দুটি টিম মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে দেশীয় অস্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁরা সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত খুরমা উত্তর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ। তাঁর চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মনির উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় মনিরের ভাতিজা রুবেল আহমদ ও বিল্লালের ভাগনে আব্দুল আলিমের মধ্যে কথাকাটি হয়।
আহতরা হলেন সাহেদ আহমদ, আতিক হাসান, বদরুল, পারভীন আক্তার, মরিয়ম বেগম, মুক্তার , আমির আলি, আবুল, রাসেল , মারুফ আহমদ, ছুরুক মিয়া, ছায়েদ আহমদ, লিটন মিয়া, হানিফ আলি, রজব আলি, জলাল মিয়া ও শরিয়ত আলি। বাকি আহতদের নাম জানা যায়নি।
গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য কয়ছর আহমদ রয়েছেন। কয়ছরের পরিবারের দাবি তিনি সেখানে সালিস করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ সন্দেহ করে তাঁকে আটক করে নিয়ে গেছে।
তবে পুলিশ বলছে ভেজা কাপড় পড়া সবাইকে আটক করা হয়েছে। এদিকে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ ছাতক থানার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন কয়ছরের পরিবার।
ছাতক থানার ওসি মিজানুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এএসপি বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।