হোম > ছাপা সংস্করণ

বানভাসি মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট

সম্পাদকীয়

শুরুতে ছিল সিলেট বিভাগ। এখন ক্রমেই এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগও ঝুঁকির মধ্যে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে, কষ্ট বাড়ছে মানুষের। আশ্রয়ের সমস্যা,

খাবারের সমস্যা। চলাচলের ব্যবস্থা নেই। সিলেটে সড়ক, রেল, বিমান—সব পথই বন্ধ হয়েছে বা হওয়ার উপক্রম। অবশ্য রেলযোগাযোগ পুনস্থাপিত হয়েছে। হাট-বাজার, দোকানপাট ডুবে যাওয়ায় মানুষ খেয়ে বেঁচে থাকার উপকরণও কিনতে পারছে না।

সীমান্তবর্তী কয়েকটি ভারতীয় রাজ্যে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল এবং একই সঙ্গে সিলেট, সুনামগঞ্জ অঞ্চলে অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেট, সুনামগঞ্জের প্রায় পুরো এলাকা।

পৃথিবীর সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি, যা সিলেটের খুবই কাছাকাছি অবস্থিত। চেরাপুঞ্জিতে সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার মিলিমিটারের কাছাকাছি বৃষ্টি হচ্ছে, যা অনেক দিক থেকেই রেকর্ড। একই রেঞ্জে হওয়ায় সিলেট, সুনামগঞ্জেও স্মরণাতীতকালের বর্ষণ হচ্ছে। সিলেট ভৌগোলিকভাবে উজানে থাকা ভারতের আসাম, মেঘালয়, মণিপুরের বৃষ্টিবিধৌত এলাকার ঢাল হওয়ায়, এসব অঞ্চলের পাহাড়ে উৎপত্তি হওয়া নদীগুলোর গতিপথও সিলেট অঞ্চল হয়ে বঙ্গোপসাগর।

এবারের মতো বন্যা সিলেট অঞ্চলে শত বছরে আর হয়েছে কি না, মনে করতে পারেন না প্রবীণেরাও। ফলে এবারের হঠাৎ বন্যায় দ্রুত সব সয়লাব হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় খোঁজার সুযোগও অনেকেই সেভাবে পাননি।

ঘরের মাচানে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি আর মানুষ আশ্রয় নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। ছোট শিশুদের বানের পানিতে পাতিলে ভাসতে দেখা যাচ্ছে। একটুখানি আশ্রয়ের আশায় কোথাও বুকসমান, কোথাও-বা তলিয়ে যাওয়া পানিতে সাঁতার কাটছে নানা বয়সী মানুষ। বেসামাল বন্যায় কলাগাছের ভেলায় ভেসে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা, উদ্ধারের আশায় অসংখ্য মানুষ প্রাণ বাঁচানোর প্রহর গুনছেন। খাবার আর পানীয় জলের জন্য হাহাকার উঠেছে। হাওর এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতেও পারছেন না। সেনাবাহিনীকে দিয়ে, হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে এগুলো এখনো পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগও উঠছে।

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। বিস্তীর্ণ দুর্গত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকার চেষ্টা করছে শুকনো খাবার সরবরাহ করে এবং অন্যান্য ত্রাণসহায়তা দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে। কিন্তু আমাদের এটা জানা যে শুধু সরকারের পক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এই সংকট মোকাবিলা করা যাবে না। আমাদের দেশে অতীতে বড় দুর্যোগকালে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগের কথা আমরা জানি। এবারও তেমন উদ্যোগ দেখা যাবে কি?

বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোই এখন বড় কাজ হওয়া উচিত। এখন অন্তত দোষারোপের রাজনীতিটা সাময়িক স্থগিত রেখে পানি নেমে যাওয়ার পর না হয় হাওরাঞ্চলে অপরিকল্পিত স্থাপনা ও সড়ক নির্মাণ করে পানিনিষ্কাশনের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ করার জন্য দায়ীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। নদীগুলোকে খালে পরিণত করার দায় আমরা কেউ কি এড়াতে পারি?

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ