শেরপুরের নকলা উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নের নারায়নখোলা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষা ও ভাঙনরোধে প্রকল্প গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়নখোলা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নারায়খোলা গ্রামের হজরত আলী, কলেজশিক্ষক শরীফ আহমেদ খান, সাবেক ইউপি সদস্য রুকুনুজ্জামান খান, উমর ফারুক খান, মোহাম্মেল হোসেন রাজিব, চরবসন্তী গ্রামের মোখলেছুর রহমান খান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তরপাড়ের ভাঙনে ইতিমধ্যে নারায়নখোলা দক্ষিণ গ্রামের প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিলীন হয়েছে হাজার হাজার গাছ-পালা, ৫ শতাধিক ঘরবাড়িসহ ২টি মসজিদ ও খেলার মাঠ। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েকশ পরিবার। ভাঙনের কবলে থাকা নারায়নখোলা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একতলা পাকা ভবনটি দুবছর আগে নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠ দান চলছে একটি পরিত্যক্ত আধা পাকা ঘরে। সেটিও নদীগর্ভে বিলীনের পথে। এটি বিলীন হয়ে গেলে এলাকায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুশফিকা খাতুন বলে, ‘স্কুলডা নদীত চইলা গেলে আমার লেহাপড়াও বন্ধ অইয়া যাইব। দূরের কোনো স্কুলে যাইয়া আমার আর পড়ালেহা অইব না।’
একজন ছাত্রের অভিভাবক জুলহাস মিয়া বলেন, ‘স্কুল নদীত চইলা গেলে আমার পক্ষে দূরের কোনো স্কুলে নিয়া মেয়েডারে পড়ানি সম্ভব অইত না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামছুন নাহার জানান, ভাঙনকবলিত বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি নিলামে বিক্রির পর থেকে পরিত্যক্ত পুরোনো আধপাকা ঘরে শ্রেণি পাঠ চলছে। বিষয়টি বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর পরেও কোনো সুব্যবস্থা হচ্ছে না।