পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন সত্তরোর্ধ্ব হালিমা খাতুন। সন্তানের হাতে মারধরের বিচার চেয়ে থানায় মামলা করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন অভিযুক্তরা। তাই ভুক্তভোগী মা এ ঘটনার প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে তেঁতুলিয়া জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে দুই ছেলে এবং পুত্রবধূর নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন হালিমা খাতুন। তাঁর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলোনিপাড়া এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে হালিমা বলেন, ‘আমার মেজো ছেলে আব্দুল হামিদ ও ছোট ছেলে হাবিবুল ইসলাম হাবিব এবং হামিদের স্ত্রী জান্নাত দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত। তারা বিভিন্নভাবে আমার ওপর মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এলাকার মানুষকে মাদকের বিষয়টি জানালে এবং অভিভাবক হিসেবে মাদক সেবন পরিহার করতে বলায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মানসিক নির্যাতনও চালায়।’
হালিমা আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমার বড় বউমা ফাহমিদা আক্তারের মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে হামিদ ও হাবিব। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাদকাসক্ত দুই ছেলে ও হামিদের স্ত্রী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর কারণ জানতে চাইলে তারা ছুরি দিয়ে আমাকে মাথায় আঘাত করে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এরপরও মেজো ছেলের বউ জান্নাত আমার ওপর নির্যাতন চালায়। এ সুযোগে তারা আমার ঘরে ঢুকে জমি বিক্রির ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আমার এবং বড় বউমার স্বর্ণ-গয়না নিয়ে যায়। আমার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও হুমকি দেয়।’
অভিযুক্ত মেজো ছেলে আব্দুল হামিদ ও ছোট ছেলে হাবিবুল ইসলাম হাবিব হালিমাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।