বর্ষার শুরুতে বৃষ্টি কম হওয়ায় পাট জাগ দিতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পাট চাষিদের। পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় সেই সমস্যা কেটে যায়। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর পাটের ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। এদিকে বাজারে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি।
মধুখালী বাজারের পাট ব্যবসায়ী মো. পান্নু মোল্যা বলেন, মিলে প্রতিনিয়ত পাট নিলে দাম থাকবে। মিল মালিকেরা পাট কেনা কমিয়ে দিলে দাম কমে যাবে। পাট কাটা মৌসুমের শুরুতেই পাটের দাম চড়া ছিল। পরে কমে বিক্রি হয় ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ২শ টাকা দরে প্রতিমণ। এখন প্রতিমণ পাট ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেক চাষি আরও বেশি দামের আশায় পাট স্টক করেছেন।
পাট চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাট চাষ করে তিন মাসের মধ্যে পাট ঘরে তোলা যায়। কম সময়ে, কম পরিশ্রমের ফসল পাট। প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ মণ পাট উৎপাদন হয়।
উপজেলার মেগচামী গ্রামের চাষি মো. সোহরাব শেখ জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ৫ বিঘা জমিতে প্রায় ৫৫ মণ পাট হয়েছে। প্রতি মণ ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এতে তাঁর অনেক লাভ হয়েছে। কম খরচে, কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় তিনি খুব খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভির রহমান বলেন, চলতি বছর ৮ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫৫৩ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০১ হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে। দামেও কৃষকেরা খুশি রয়েছেন।