হোম > ছাপা সংস্করণ

বদলাবে ৬ সড়ক, জাগছে আশা

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর তিনটি আঞ্চলিক ও তিনটি জেলা মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেকে) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার বা মেরামত না করায় কৃষিভিত্তিক এই অঞ্চলের কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এই ছয়টি সড়কের মাধ্যমে নওগাঁবাসী আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার মহাসড়কে যুক্ত হবেন।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, একনেকে যে তিনটি আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণের কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—বগুড়া-নওগাঁ-মহাদেবপুর-পত্নীতলা-ধামইরহাট-জয়পুরহাট সড়কের চৌমাসিয়া থেকে মঙ্গলবাড়ি ৫১ দশমিক ৪৯৮ কিলোমিটার, নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের সান্তাহার (নওগাঁ)-আত্রাই সড়কের সান্তাহার ঢাকা মোড় থেকে রাণীনগর রেলস্টেশন ৮ কিলোমিটার, নওগাঁ-বদলগাছী-পত্নীতলা-সাপাহার-পোরশা-রহনপুর সড়কের নওগাঁ থেকে পত্নীতলা ৩৩ কিলোমিটার।

এ ছাড়া তিনটি মহাসড়ক হলো—মহাদেবপুর-সরাইগাছী-পোরশা সড়কের ৩৭ দশমিক ৯৩০ কিলোমিটার, জয়পুরহাট-আক্কেলপুর-বদলগাছী সড়কের বদলগাছী থেকে আক্কেলপুর ১১ কিলোমিটার এবং মান্দা-নিয়ামতপুর-শিবপুর-পোরশা সড়কের মান্দা ফেরিঘাট থেকে নিয়ামতপুর তিনমাথা ১৮ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার।

জানা গেছে, সড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ততা বাড়াতে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট ১৫টি প্যাকেজ রাখা হয়েছে। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, সড়কবাঁধ নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের জন্য ৫৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা, শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার সড়ক চার লেন নির্মাণের জন্য ৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ১১৯ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য ১০১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, সড়ক পুনর্নির্মাণে ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ১৩০ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়ক মজবুতকরণে ১১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ১৪৫ দশমিক ২৩ কিলোমিটার সড়ক সার্ফেসিংয়ের জন্য ৩০৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ১৩ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার রিজিড পেভমেন্টের জন্য ১০৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ৮৪ মিটার কালভার্ট নির্মাণে ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, ২৭ হাজার ২৯৫ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণের জন্য ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ১৪ হাজার ৪২৮ মিটার প্যালাসাইডিং নির্মাণের জন্য ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ৫২টি যাত্রীছাউনি নির্মাণের জন্য ১৩ কোটি টাকা, ৪০ হাজার ৯৭ দশমিক ৫০ বর্গমিটার রোড মার্কিং ও সাইন সিগন্যাল কাজের জন্য ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, ৪টি ইন্টার সেকশন উন্নয়নে ২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ইউটিলিটি শিফটিংয়ে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও অন্য দফায় ৭৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার বা মেরামত না করায় কৃষিভিত্তিক এই অঞ্চলের কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একনেকে সড়কগুলোর উন্নয়নকাজের প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় জেলাবাসী উল্লাস প্রকাশ করছেন। হাসি ফুটেছে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে। এখন অপেক্ষা, কবে শুরু হবে এই প্রকল্পের কাজ।

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদিত ছয়টি সড়কের দৃশ্যমান কাজ নওগাঁবাসী দেখতে পাবেন। বরাদ্দ অনুসারে সঠিক নিয়ম ও মান বজায় রেখে কাজগুলো সম্পন্ন করতে যা যা করা প্রয়োজন, নওগাঁ সড়ক বিভাগ তা-ই করবে।

মো. সাজেদুর রহমান আরও বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সড়কগুলোর আশপাশের বাসিন্দাসহ পুরো নওগাঁবাসী ও অন্য অঞ্চলের মানুষেরা এর সুফল পাবেন। বিশেষ করে রোগী বহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, কৃষকদের পণ্য বাজারজাত করাসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুনভাবে নির্মিত এই সড়কগুলো মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, নতুন করে কোনো দুর্যোগ বা জটিলতার সৃষ্টি না হলে প্রকল্পের মেয়াদ অনুসারে নওগাঁ সড়ক বিভাগ ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই ছয়টি সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ