জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। গতকাল গুলশানে বিজিএমইএ পিআর অফিসে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বিজিএমইএর সভাপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান আরও বলেন, বাংলাদেশ জাপানের বাজারে তৈরি পোশাকের শেয়ার বাড়াতে চায়। তিনি এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো, বিশেষ করে নন-কটন টেক্সটাইল খাতে জাপানের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য জাপানি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
সভায় বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম, সহসভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ এবং জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি হারুতা হিরোকি উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীরতর করার সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে তাঁরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিরাজমান বাণিজ্য বাধাগুলো অপসারণের ওপর জোর দেন। ব্যবসার সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের ব্যবসায়ী, বিশেষ করে যাঁরা ফ্যাশন শিল্পের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করার বিষয়ে তাঁরা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আলোচনাকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ভেতরে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর জন্য নতুন বাজারে রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা সুবিধা সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশে অধিক জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা আরও সহজীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।