জ্ঞান মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। জ্ঞানীরা সমাজে যেমন মর্যাদাবান, তেমনি আল্লাহর কাছেও প্রিয়। ইসলামে জ্ঞানার্জনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং জ্ঞানী ব্যক্তিকে সর্বাধিক মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা সম্পর্কে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি মর্যাদায় সমান হতে পারে?’ (সুরা যুমার, আয়াত: ৭৫)
অন্য আয়াতে এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ইমানদার ও জ্ঞানী, আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদা সুউচ্চ করবেন।’ (সুরা মুজাদালা, আয়াত: ১১) মহানবী (সা.) বলেন, ‘ইবাদতকারীর ওপর আলেমের মর্যাদা তারকারাজির ওপর চাঁদের মর্যাদার সমতুল্য। আর আলেমরা নবীদের উত্তরসূরি। নবীগণ উত্তরাধিকার হিসেবে অর্থ-সম্পদ রেখে যান না, বরং তারা জ্ঞান রেখে যান।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজা)
মানুষ ইন্তেকাল করার সঙ্গে সঙ্গে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু জ্ঞানী ব্যক্তির আমল জারি থাকে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটির সওয়াব অব্যাহত থাকে—সদকায়ে জারিয়া, উপকারী জ্ঞান ও নেক সন্তান।’ (মুসলিম)
তাই আলেম তথা জ্ঞানীরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের সান্নিধ্যে গিয়ে জ্ঞানার্জনের উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে বিষয়ে তোমরা জানো না, সে ব্যাপারে জ্ঞানী ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হও।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৪১)
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি