করোনার গণটিকা সব মানুষের জন্য নিশ্চিত করতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে দিনাজপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি। টিকা দেওয়া হবে শুক্র, শনিবার এমনকি একুশে ফেব্রুয়ারিতেও। এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) রংপুরের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার ৪ লাখ মানুষকে গণটিকার আওতায় আনতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাট-বাজার, টার্মিনাল ও গণজমায়েতের স্থলে ভ্রাম্যমাণ টিকাকেন্দ্র চালু, মাইকে প্রচার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তায় জনগণকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করা, প্রয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। জুমার দিনে মসজিদে নামাজের পর ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, টিকা দিতে একাধিক ভ্রাম্যমাণ ইউনিট হাট-বাজার, টার্মিনাল ও গণজমায়েতের স্থানসহ ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। তবে এ সময় ভোটার নিবন্ধন কার্ড বা জন্মসনদ না থাকলেও টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া করোনার টিকা সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে নেওয়া হচ্ছে ‘নো টিকা নো সার্ভিস’ কর্মসূচি। শুক্রবার থেকেই এর আওতায় টিকা কার্ড ছাড়া কোথাও কোনো সার্ভিস দেওয়া হবে না।
জেলায় আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে অন্তত প্রথম ডোজের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৭ জন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ। ৭০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাকি রয়েছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৬০ জন। জেলায় সিনোভ্যাক টিকার বর্তমান মজুত রয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৬২টি।