পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরে ও বড় মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের উপকূলীয় শিশুদের জন্য চারটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বই পড়া থেকে বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে পাঠাগারগুলো।
জেলেপল্লির শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এসব পাঠাগার। ৭ নম্বর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় পাঠাগারগুলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফেরদৌস ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ৭ নম্বর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন অধিকারী। বক্তব্য দেন হাতে খড়ি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রুবেল মিয়া নাহিদসহ অন্যরা। পাঠাগারগুলো উদ্বোধনের ফলে ৭ নম্বর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮১ নম্বর উত্তর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৬ নম্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫৯ নম্বর বকসির ঘটিচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী নানা ধরনের বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
৭ নম্বর উত্তর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী দোলা হালদার বলে, ‘এখান থেকে আমরা ছড়া ও গল্পের বই নিতে পারব। আমরা অনেক খুশি হয়েছি।’
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইসলাম বলেন, ‘এই স্কুলভিত্তিক উপকূলীয় পাঠাগার উদ্যোগটি আমার ভালো লেগেছে।’
৭ নম্বর উত্তর খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন অধিকারী বলেন, ‘এই পাঠাগারের মাধ্যমে আমাদের স্কুলের শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারবে।’