হোম > ছাপা সংস্করণ

৮৪ মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি

শেখ শাহিনুর ইসলাম শাহিন, মোল্লাহাট (বাগেরহাট)

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ১০ দিন বাকি। এই দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আগমন ঘটেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন করে। আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।

এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার ৮৪টি মন্দিরে প্রতিমা স্থাপনের কাজ চলছে। গত বছর ৮২টি মন্দিরে পূজা হয়েছিল। করোনার কারণে সবাইকে পূজা মণ্ডপে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় আছে।

মোল্লাহাট উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরির কাজও ততই দ্রুতগতিতে করছেন শিল্পীরা।

এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর জাঁক-জমকভাবে পূজার আয়োজন করছে না আয়োজকেরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রতিমা ও পূজা দেখার ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। তবে মন্দির ও সড়কগুলোতে করা হবে আলোকসজ্জা।

উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও খড়-কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। আবার কোথাও শিল্পীর সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাচ্ছেন দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিব। কোনো কোনো প্রতিমায় পরানো হয়েছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না।

উপজেলার কাহালপুর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাসের বাড়ি সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি কল্লোল বিশ্বাস পলু জানান, প্রতি বছরই তাঁরা দুর্গোৎসব করেন। দেবী দুর্গার আগমন হবে ঘোড়ায় চড়ে, আর প্রস্থান হবে দোলায় চড়ে। ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনি-আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে মোল্লাহাটের পাড়া মহল্লা। করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ বোস বলেন, প্রতি বছর ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে সর্বজনীন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ জানান, পূজা উপলক্ষে মন্দিরকেন্দ্রিক গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এলাকাকেন্দ্রিক বিট অফিসাররা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া পূজার দিনগুলোতে আনছার সদস্য নিয়োজিত থাকবে এবং প্রতিটা মণ্ডপের কমিটিদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ