ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বজনদের দাবি স্বামী তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামনগর গ্রামের বাচ্চু ফকিরের সঙ্গে পাশের সালথা উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের হিমালী খাতুনের (৪০) বিয়ে হয় প্রায় বিশ বছর আগে। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বাড়িতে বিষ পান করেন হিমালী খাতুন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাঁকে বোয়ালমারী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
হিমালী খাতুনের ভাই মো. মিরাজুল মোল্লা বলেন, ‘আমার বোনের মৃত্যুর পর তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমি নিশ্চিত ওঁরা আমার বোনকে পিটিয়ে মেরেছেন। আমি আমার বোনের লাশের একাধিক জায়গায় লাঠির আঘাতের কালো দাগ দেখেছি।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হোসেন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ার কথা বলেছে। তবে ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী আত্মগোপনে রয়েছেন। গৃহবধূর ভাই মো.মিরাজুল মোল্লা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।