চলতি অর্থবছর রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’-সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। এ ছাড়া দেশে কােনো মূলস্ফীতি নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রণোদনার কারণে করোনার মধ্যেও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার প্রবাস আয় আসে। আর চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছে ৮৬১ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৯০ কোটি ডলার। এই পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স আসা কমেছে ২২৯ কোটি ডলার বা ১৯ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রেমিট্যান্সটা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক এলাকায় কত বড় ভূমিকা রাখে, সেটি অর্থনীতিবিদরা বুঝবেন এবং তাঁরা আমার সঙ্গে একমত পোষণ করবেন যে, এটি অসাধারণ ভালো কাজ হয়েছে। আমরা একদিকে এটাকে সঠিক চ্যানেলে আনার চেষ্টা করছি, তাহলে জানতে পারি কতটা আসা উচিত আর কতটা পেলাম। যেটা পাচ্ছিলাম না, সেটা ইনফরমাল চ্যানেলে চলে যাচ্ছিল। আমরা সেই চ্যানেলটাকে নিরুৎসাহিত করব এবং ফরমাল চ্যানেলেই পুরোটা অর্জন করতে চাই। সে জন্যই প্রণোদনা ২ শতাংশ ছিল, সেখান থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে, আজ (গতকাল) থেকে এটি কার্যকর হবে। আশা করি, এই অর্থবছর ২৬ বিলিয়ন অর্জন হবে। সব দিক বিবেচনা করে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা বাড়ালাম।’