যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এখন বিশ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে ২০৩১ সালের মধ্যে শীর্ষ অর্থনীতি হতে চেষ্টা করছে চীন। কিন্তু মোট সম্পদের মূল্যমানের দিক থেকে চীন ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে। বৃহত্তম ১০টি দেশের ‘জাতীয় ব্যালেন্স শিট’ নিয়ে সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত ম্যাকেনসি গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, চীনের মোট সম্পদের মূল্যমান ১২০ লাখ কোটি ডলার। ২০০০ সালে তা ছিল মাত্র ৭ লাখ কোটি ডলার। ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হওয়ার পর দেশটির কপাল খুলে গেছে।
চীনের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। দেশটির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৯০ লাখ কোটি ডলার। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চীনের সম্পদের পরিমাণ ৩০ লাখ কোটি ডলার বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০ বছরে বিশ্বের সম্পদের পরিমাণ তিন গুণ বেড়ে ২০২০ সালে তা ৫১৪ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০০০ সালে তা ছিল ১৫৬ লাখ কোটি ডলার। গত দুই দশকে বিশ্বে বৃদ্ধি পাওয়া সম্পদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হয়েছে চীনে। তবে উভয় দেশের সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশের মালিক দেশ দুটির শীর্ষ ১০ খাত।
যে ১০টি দেশের ব্যালেন্স শিট নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে, বিশ্বের জিডিপিতে তাদের অবদান ৬০ শতাংশ। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি আট দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, মেক্সিকো, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য।