টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ খেলে বাংলাদেশে এসেছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সেই ছন্দ পুরোপুরি দেখা না গেলেও ৩-০ ব্যবধানে মাহমুদউল্লাহদের ঠিকই বিধ্বস্ত করেছে বাবর আজমের দল। লো স্কোরিং ম্যাচের লড়াইয়ে তিনটিতেই জিততে গিয়ে অবশ্য একটু বেগই পেতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেও পাকিস্তানের খেলোয়াড় ও কোচকে কথা বলতে হয়েছে মিরপুরের উইকেট নিয়ে। তাঁরা বলছেন, এমন উইকেটে খেলা মোটেও সহজ ছিল না। বিশ্বকাপের আগে থেকেই আলোচনায় মিরপুরের উইকেট। যে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ সিরিজ হারিয়েছে, তারাই খেলেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। আর বাংলাদেশ ফিরেছে সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ না জিতেই। বিশ্ব ক্রিকেটে মিরপুরের উইকেট নিয়ে চলছিল নিন্দা।
এমনকি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও মিরপুরের উইকেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এরপরও অবশ্য খুব ব্যতিক্রম কিছু দেখা যায়নি পাকিস্তান সিরিজে। মিরপুরের উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা পাকিস্তানি ওপেনার রিজওয়ান বলেছেন, ‘উইকেট কিছুটা বিভ্রান্তিকর ছিল। আপনি যখন বাইরের উইকেটে খেলবেন, তখন বিভিন্ন ধরনের উইকেটে খেলতে হবে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকার চেষ্টা করেছি।’
মিরপুরের উইকেটে রান করা কঠিন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরা হায়দার আলীও। তিনি বলেছেন, ‘এই উইকেট ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। আমরা কন্ডিশনের বিবেচনা করে চেষ্টা করেছি। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের পরামর্শ কাজে দিয়েছে।’
আরব আমিরাতে সেমিফাইনালের আগপর্যন্ত দারুণ খেলেছে পাকিস্তান। এমনকি শেষ চারের লড়াইয়ে হারা ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। সেখানে মিরপুরে বেশ সংগ্রাম করেই তিনটা ম্যাচ জিততে হয়েছে বাবর-রিজওয়ানদের। দুই উইকেটে পার্থক্যের কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ সাকলায়েন মুশতাক বলেছেন, ‘আরব আমিরাতের চেয়ে এখানকার কন্ডিশন বেশ অদ্ভুত। তবে আমাদের ছেলেরা দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছে। তারা তাদের দক্ষতাও দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের চেয়ে এবারের উইকেট ভালো ছিল বলেই মনে করেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘উইকেট ভালো ছিল (অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের চেয়ে)। যদি শেষ দুটি সিরিজের সঙ্গে এটির তুলনা করা হয়, বলব ওটার চেয়ে এই উইকেট ভালো ছিল।’