মহম্মদপুর উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারে কাঁচা রস ও পাটালি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন এখানকার গাছিরা। সড়কের দুপাশে ও বাড়ির আঙিনায় অসংখ্য খেজুর গাছ থেকে এখন রস পাওয়া যাবে । সেই রস আহরণ করে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন তাঁরা। আটটি ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ লোক এ পেশার সঙ্গে জড়িত।
কুয়াশা শীত উপেক্ষা করে খেজুরের রস সংগ্রহের সময় দেন গাছিরা। সুস্বাদু এই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন রকমের পাটালি ও গুড়। ফলে কাজের চাপে দম নেওয়ার সময় পান না তাঁরা।খেজুর গাছ সংকটের কারণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন গাছিরা।
উপজেলার চালিমিয়া গ্রামের গাছি নরেশ কুমার জানান, ‘শীত মৌসুমের শুরুতেই খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করা হয়। বছরের চার মাস রস সংগ্রহ করা যায়। রস, পাটালি, গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি আমরা। এক গ্লাস রস বাজারে ৫ টাকায় বিক্রি করি।’
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘শীত মৌসুমের শুরুতেই আমরা গাছিদের রস সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। খেজুর গাছ ফসলের কোনো প্রকারের ক্ষতি করে না। এই গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচ করতে হয় না। এই গাছ বাড়ির পাশেও লাগাতে পারে।’