নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনের টানা বর্ষণে সেতুর পূর্ব পাশের সড়কে ১০-১৫ ফুট গর্ত হয়ে মাটি ও ব্লক দেবে গেছে। এতে সড়ক ও সেতুতে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির দেবে যাওয়া অংশে ইট ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া লাল পতাকা দিয়ে বিপদের নিশানা দেওয়া হয়েছে। তবে নরসিংদীর সড়ক ও জনপথের পক্ষ থেকে ইট ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত শুক্র ও শনিবারের বৃষ্টিতে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সিলেট, নরসিংদী, ঢাকা, গাজীপুর জেলার প্রায় কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুদিনের টানা বৃষ্টিতে এ সড়কের একটি অংশ দেবে যাওয়ায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী বহন করতে হচ্ছে। দেবে যাওয়া অংশে দীর্ঘদিন ধরে সড়কবাতিও অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে রাতের বেলায় অন্ধকার থাকায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে ভারী যানবাহনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এখনই সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত সংযোগ সড়ক সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে নরসিংদীর সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোড়াশাল শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। দীর্ঘ বছরের পুরোনো সড়ক ও সেতু হওয়ায় এমনটি হয়েছে। খুব দ্রুত এটি মেরামতের কাজও শুরু করা হবে।’