হোম > ছাপা সংস্করণ

ক্ষতিপূরণের দাবিতে সময়সীমা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে দীর্ঘ আড়াই মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার সকাল থেকে এ উত্তোলন শুরু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মাইনিং সাইফুল ইসলাম। এদিকে কয়লা উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের অর্থ পরিশোধের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার শহরের বড়পুকুরিয়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এক মানববন্ধনে তাঁরা এ ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি এক্সএমসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন চুক্তি হতে আরও মাসখানেক সময় লাগতে পারে। এ সময় সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পুরোনো চুক্তির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে চুক্তি হলে সে অনুযায়ী কাজ শুরু হবে। এর আগে খনিটির চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি এক্সএমসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের জুলাই মাসের ২৫ তারিখ থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

সূত্রে জানা যায়, শনিবার থেকে স্বল্প পরিসরে কিছু চায়না ও বাংলাদেশি শ্রমিকের মাধ্যমে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে চায়না শ্রমিকদের একটা বড় অংশ কোয়ারেন্টিনে আছেন। কোয়ারেন্টিন শেষে এরা কাজে যোগ দিলে তখন উৎপাদন আরও বাড়বে। আর বাইরে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করে তাঁরাও কাজে যোগ দেবেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান জানান, আগামী মাসের মধ্যেই নতুন করে চুক্তি নবায়ন করা হবে। আপাতত পুরোনো চুক্তির আওতায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে সাত শ মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন হয়েছে। গতকালও সমপরিমাণ কয়লা উৎপাদিত হওয়ার কথা। দু-তিন দিন পর এটা বেড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন হবে। যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন, তাঁরা কাজে যোগ দিলে তখন দুই শিফট চালু হলে উৎপাদন দুই হাজার মেট্রিক টন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে।

বর্তমান এ সময়ে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা দিয়ে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আর নতুন করে উৎপাদিত কয়লা আগামী মৌসুমের জন্য মজুত রাখা হবে।

এ ছাড়া অধিগ্রহণ বিষয়ে প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, এটি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। মাঝখানে করোনা ও লকডাউনের কারণে বিলম্বিত হয়েছে। শিগগিরই তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ