নরসিংদী হিসাবরক্ষণ অফিসের একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরি করে এক ব্যক্তির জমি অধিগ্রহণের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিক মো. সেলিম মিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত হামদু ভূঁইয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মচারী। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের আট পাইকা গ্রামের বাসিন্দা।
জমির মালিক সেলিম মিয়া আজকের পত্রিকা জানান, আট পাইকা মৌজায় তাঁর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া আড়াই শতাংশ জমিতে সম্প্রতি মাটি ভরাট শুরু হয়। কারণ জানতে চাইলে শ্রমিকেরা তাঁকে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র স্থাপনের জন্য এই জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় গিয়ে জানতে পারেন তাঁর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের ১২ লাখ ৭ হাজার ৩৮০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
সেলিম মিয়া আরও জানান, এলএ শাখার তথ্যমতে, পলাশ উপজেলার দড়িচর গ্রামের হামদু ভূঁইয়া তাঁর জমি অধিগ্রহণের এই টাকা তুলে নেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, হামদু জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মচারী। জেলা মহাফেজখানা থেকে এই দলিলের নকল সংগ্রহ করে সেলিম মিয়া নিশ্চিত হন দলিলটি অধিগ্রহণ করা জমির নয়। জাল দলিল তৈরি করে অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই তথ্য জমি অধিগ্রহণ শাখায় জানানো হলে তাঁকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে সেলিম মিয়া জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়ে অফিসের কর্মচারী হামদু ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাঁর জমি অধিগ্রহণের টাকা কীভাবে তুলে নেওয়া হলো জানতে চাইলে হামদু ভূঁইয়া সাব রেজিস্ট্রার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন।
এ ঘটনায় তাঁর পৈতৃক জমি ফিরে পেতে এবং দলিল জালিয়াতির বিচার দাবি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
এ বিষয়ে সম্প্রতি তাঁর অফিসে গিয়ে জানতে চাইলে হামদু ভূঁইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী বক্তব্য দিব? এ ব্যাপারে আমাকে বিরক্ত করলে, গোয়েন্দা সংস্থায় খবর দেব।’
গতকাল মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আসে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।