ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ফারুক মিয়া নামে এক পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল তাঁর দুই ভাইসহ অন্তত ৪০ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌরসভার আমিনপুর এলাকার বাসিন্দা তাহেরা বেগম। ফারুক মিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর আগে আমিনপুর এলাকায় গত মঙ্গলবার হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বর্তমান কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার ছোট ভাই লোকমান মিয়া চান্ডালখিল এলাকায় স্টোন ক্রাশারের ব্যবসা করেন। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে আমিনপুরে ট্রাক আসা-যাওয়া করায় সড়ক ভেঙে গেছে। তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রাক আসার সুবিধার্থে গত মঙ্গলবার বিকেলে ভেকু দিয়ে সড়কের পাশের বসতবাড়ি ও জমির মাটি কেটে ভাঙা সড়ক ভরাট শুরু করেন। এতে বাড়িঘরের বাসিন্দা ও জমির মালিকেরা বিনা অনুমতিতে মাটি কেটে নেওয়ায় প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে লোকমানের সঙ্গে আমিনপুরের কয়েক জন যুবকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে লোকমান স্থানীয় মাসুক মিয়াকে চড় দেন এবং গাছের ডাল দিয়ে মারধর করেন। পরে নিজ গ্রাম ছয়বাড়িয়া থেকে লোকজন এনে আমিনপুর বাজারে ও বাড়িঘরের হামলা করেন। এই হামলায় লোকমানের বড় ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিল ফারুক মিয়া নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।
সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলরের ভাই লোকমান অন্যের জায়গা থেকে মাটি নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে ছয়বাড়িয়ার লোকজন একযোগে আমিনপুরের বাড়িঘরে ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আমিনপুরের লোকজনও আত্মরক্ষায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় ছয়বাড়িয়ার মো. নুরুল আমিন বাদী হয়ে আমিনপুরের বাসিন্দা জামাল মিয়া, দুলাল মিয়াসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে অপর মামলায় কাউন্সিলর ও তাঁর দুই ভাইকে আসামি করা হয়েছে।