নেছারাবাদ উপজেলার উত্তর ব্যাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ভবন হয়নি দুই বছরেও। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বারবার তাগাদা দেওয়ার পরেও নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেননি ঠিকাদার।
দুই বছর আগে পিরোজপুর সদরের মেসার্স চান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্কুল ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ করার সুবিধার্থে একমাত্র পুরোনো ভবনটিও তখন ভেঙে ফেলা হয়। সে সময় ক্লাস নেওয়ার জন্য নিচু জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেই টিনের ছাপড়া ঘরটিও ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বৃষ্টির পানি পড়াসহ নানা কারণে দুই বছর ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মীর আলী শাকির বলেন, ‘বহুভাবে চেষ্টা করার পরেও ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ শুরু করাতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে ঠিকাদারের চুক্তি বাতিলের জন্য প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তি বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদিত হলে নতুন করে দরপত্র আহ্বান এবং নির্মাণকাজ শুরু করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। এ অবস্থায় শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের আরও কিছুদিন দুর্ভোগ পোহানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
জানা গেছে, উত্তর ব্যাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর মেসার্স চান এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। চুক্তি মতে, ২০২০ সালের ১৩ জুলাই কাজ শেষ করার কথা। ওই সময় ঠিকাদার কিছু ইট–বালু এনে বিদ্যালয় মাঠে স্তূপ করে রাখেন। পরে করোনার অজুহাতে দীর্ঘদিন কাজটি ফেলে রাখা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিউটি রানী মণ্ডল বলেন, ‘বাঁশের খুঁটির ওপর টিনের ছাপড়া ঘরটিও নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। এর মধ্যেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঠ জুড়ে বালুর স্তূপ। বালুর কারণে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী মীর শাকির এ বিষয়ে বলেন, ‘ঠিকাদারকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার কাজ আরম্ভ করার কথা বলেও তা রক্ষা করছেন না।’