বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের এক দিন আগে থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। হোটেল-মোটেলে ৮০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং বাতিল হয়ে গেছে।
শুক্রবার থেকে বরিশাল জেলা বাসমালিক সমিতির দুই দিনের ধর্মঘটে কুয়াকাটা পর্যটন খাতে নিম্নে ১০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, কুয়াকাটায় ১৫০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। শুক্র ও শনিবার এগুলোর ৮০ শতাংশের অগ্রিম বুকিং থাকে। এ সময় অন্তত ১৫ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। এতে করে কমপক্ষ ১০ কোটি টাকা পর্যটন খাতে আয় হয়। তবে বাসমালিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার থেকে সারা দেশের সঙ্গে কুয়াকাটার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে বলে হোটেল-মোটেলের অগ্রিম বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকেরা। এ ছাড়া যাঁরা কুয়াকাটায় ছিলেন তাঁরাও ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে চলে গেছেন। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম বাচ্চু বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে কুয়াকাটায় পর্যটক আসে মাত্র দুই দিন। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনের দিকে তাকিয়ে থাকি আমরা। ছুটির দিনেই ধর্মঘট দিয়ে আমাদের মাঠে মারা দিল। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, আগামী দুই দিন বাস ধর্মঘট থাকার কারণে এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ রুম বুকিং বাতিল হয়েছে আর এমন পরিস্থিতি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর জন্য অশনিসংকেত হিসেবে কাজ করে। এর ভুক্তভোগী হন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও কর্মচারীরা। এই ধর্মঘট তো আসলে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) রুমান ইমতিয়াজ বলেন, ‘দুই দিনের ধর্মঘটের কারণে আমাদের পর্যটন ব্যবসায়ীরা অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। সাপ্তাহিক এই ছুটির দিনে আয় হওয়ার কথা ছিল নিম্নে ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিএনপির সমাবেশের কারণে বরিশালের দিকে মানুষ বেশি যাচ্ছে। এতে যেসব পর্যটকের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে, তাঁরাও কুয়াকাটা আসতে পারছেন না।’