চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর দখল-দূষণ পরিদর্শন করেছে মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত শনিবার দুটি বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় প্রায় ৮০ জন প্রতিনিধি নদীটি পরিদর্শন করে।
সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্কের ঘাট থেকে দুটি নৌকা যাত্রা শুরু করে। এর নেতৃত্ব দেন মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী।
পরিদর্শন শেষে বিকেলে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট রোডে মাথাভাঙ্গা নদীর দখল-দূষণ বন্ধ করা, নদীর অবাধ প্রবাহ ও নৌ-চলাচলের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করার দাবিতে মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক বলেন, শিগগিরই পরিদর্শনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন নদ-নদী সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাব। আমরা দেখেছি মাথাভাঙ্গা ভালো নেই। দখল হয়ে যাচ্ছে। দূষণ করা হচ্ছে। তীর ভেঙে যাচ্ছে। এই নদী না বাঁচলে চুয়াডাঙ্গার কোনো নদী বাঁচবে না। চুয়াডাঙ্গাকে বাঁচাতে হলে মাথাভাঙ্গাকে বাঁচাতে হবে।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলিম, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খান, নাজমুল হক স্বপন, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, সহসভাপতি শাহ আলম সনি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক আকবর, শরিফ উদ্দীন হাসু, উদীচী চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক হাবিবি জহির রায়হান, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল প্রমুখ।