নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছ থেকে এই ফরম সংগ্রহ করেন তাঁরা। দুজনের মধ্যে ২০১৬ সালের নাসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন সাখাওয়াত হোসেন খান।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে আমি ধানের শীষ প্রতীক চাইব। যদি না পাই, তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করব। আর যদি দল কাউকেই প্রতীক না দেয়, তাহলে আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’
সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আমিসহ অনেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এখানে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, বর্তমান মেয়র তার প্রতিবাদ বা বিচারের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেননি। আমাদের প্রচেষ্টায় ও নগরবাসীর আন্দোলনের মুখে সেই ঘটনার বিচার হয়েছিল। তাই আমরা মনে করি, জনগণ তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারলে বিপুল ভোটে জয়ী হব।’
আরেক প্রার্থী এ টি এম কামাল বলেন, ‘আমি সিটি নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। কারণ, আমাদের দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমাদের মহাসচিব বলেছেন, কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে যেতে চায়, তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমি যদি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অন্য নেতাদের সমর্থন পাই, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। যেহেতু দলের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সেহেতু একাধিক প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। তবে দলের সিনিয়র নেতারা কাকে সমর্থন দেন, সেটা এখন দেখার বিষয়। তাঁরা যদি আমাকে সমর্থন করেন, তবে শেষ পর্যন্ত আমি লড়াইয়ের মাঠে থাকব।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নাসিক নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান ও এ টি এম কামাল। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পান সাত খুন মামলায় পরিচিতি পাওয়া আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখন দেখার বিষয়।