বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত কোচদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় সবার ওপরে থাকবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম। মুমিনুল হক অফ স্পিন খেলতে পারেন না, এই যুক্তিতে ২০১৭ সালে হাথুরু মুমিনুলকে টেস্ট থেকে বাদ দিয়েছিলেন। ব্যাপারটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন হাথুরুসিংহে।
হঠাৎ হাথুরুসিংহকে মনে করার কারণ আছে। টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিপর্যস্ত হওয়ার পর দলের প্রতিনিধি হয়ে স্বাভাবিকভাবেই গতকাল দলের অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন মুমিনুল। সিরিজজুড়ে স্পিনের বিপক্ষে ভুগেছেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ব্যর্থতার মিছিলে সামনের সারিতে থাকবেন মুমিনুল। চার ইনিংসের তিনটিতেই স্পিনের বিপক্ষে পরাস্ত বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ডারবান আর পোর্ট এলিজাবেথ, দুই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের সব কটিই নিয়েছেন দুই প্রোটিয়া স্পিনার সাইমন হারমার আর কেশব মহারাজ। দুই টেস্টের সিরিজে ১৬ উইকেট নিয়ে সিরিজ-সেরা হয়েছেন মহারাজ। মূলত এ বাঁহাতি স্পিনারই দুই টেস্টে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে স্পিন শিক্ষার কথা যেন শোনা গেল মুমিনুলের কণ্ঠে। তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, ‘আমরা স্পিনে খুব বেশি ভালো না। দু-একজন ছাড়া কেউ-ই স্পিনে ভালো নয়। স্কয়ার অব দ্য উইকেটে উন্নতি করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্পিনারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণে ব্যাখ্যায় মুমিনুল সামনে এনেছেন সাইড আর ওভার স্পিন-প্রসঙ্গ। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক মনি বিষয়টি দেখছেন এভাবে, ‘দেশের মাঠে তারা বেশির ভাগ সময় খেলে মন্থর আর নিচু উইকেটে। আমাদের ব্যাটাররা পেছনের পায়ে খেলতেও দক্ষ নয়। ওখানে এ ধরনের বল পেছনের পায়েই বেশি খেলতে হয়। আমাদের ব্যাটাররা সামনের পায়ে খেলেই বেশি উইকেট দিয়েছে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা দুই পায়ে খেলতেই দক্ষ।’
এই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশি খেলার ওপর জোর দিচ্ছেন, ‘আমাদের স্পিন খেলার অভ্যস্ততা ধীরে ধীরে কমে গেছে। খেলোয়াড়েরা এখন এত ব্যস্ত থাকে আন্তর্জাতিক সিরিজ নিয়ে, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির লিগে খেলা বাড়াতে হবে, উইকেটগুলো পেসের পাশাপাশি স্পিন সহায়কও করতে হবে।’