হোম > ছাপা সংস্করণ

বিএনপি নেতাদের মধ্যে মাঠে রইলেন তৈমূর

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে নাটকীয়ভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপিপন্থী তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল জেলা আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকারকে সমর্থন দিয়েছেন। অন্যদিকে সাখাওয়াত হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। তবে প্রার্থিতা থেকে সরেও দেননি কাউকে সমর্থন, উল্টো তাঁদের মন্তব্যে দলীয় নেতাদের মধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য দৃশ্যমান।

গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসে স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তৈমূর আলম খন্দকার। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরেক মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সম্পাদক এ টি এম কামাল। তিনি তৈমূরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান।

দাখিল-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘যাঁরা ভোটযুদ্ধ থেকে সরে এসেছেন, তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। বিএনপি অনেক বড় একটা দল। তাই বিএনপিকে কৌশল অবলম্বন করে চলতে হয়েছে। গত জাতীয় নির্বাচনে আমাদের অনেক প্রার্থীকে জেলখানায় থাকতে হয়েছে। অনেক প্রার্থীর বাড়িঘরে লুটপাট করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও বিএনপি আপস করেনি। রাজনৈতিক দল পৃথিবীর সব জায়গায় কৌশল অবলম্বন করে। আমরা আমাদের অবস্থানে এগিয়ে যাচ্ছি।’

এর এক ঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন। সাখাওয়াত বলেন, ‘বিএনপি নীতিগত কারণেই এ নির্বাচন বয়কট করছে। সে কারণেই আমি নির্বাচন বর্জন করেছি। যাঁরা এখনো নির্বাচন থেকে সরে আসেননি, তাঁদের প্রতি আহ্বান করব, সরে আসেন।’

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক মা খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি যখন সুস্থ ছিলেন আমি তাঁর নির্দেশে নির্বাচন করেছিলাম। তা ছাড়া আমি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা জানিয়েছেন দল নির্বাচনে অংশ নেবে না। যে নির্বাচন করবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। দল তাঁকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করবে না।’

একইভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন মনোনয়ন দাখিল থেকে বিরত ছিলেন। হেফাজতের একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় তাঁর পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করা মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘গিয়াস সাহেব মূলত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাননি। তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তিনি নির্বাচনের চাইতে নেত্রীর সুস্থতার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে চান। কোনো প্রার্থীর পাশে দাঁড়াবার কোনো সম্ভাবনাও নেই গিয়াস উদ্দিনের।’

সিটি নির্বাচন ঘিরে বিএনপির তিন নেতার এমন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান-স্বাভাবিকভাবেই বিভাজনের বিষয়টি পরিষ্কার করে দেয় বলে মনে করছেন অনেক নেতা-কর্মী।

প্রার্থীদের মাঝ থেকে উঠে আসা বক্তব্যের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার আবু জাফর বলেন, ‘এমন মন্তব্যের মাধ্যমে দলীয় নেতাদের ভেতর কিছুটা মতপার্থক্য তো দৃশ্যমান দেখাই যাচ্ছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এই সরকারের আমলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে। আমি প্রত্যাশা রাখব, তিনি যেন নির্বাচন থেকে শেষ মুহূর্তে সরে আসেন।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ