নরসিংদীর মনোহরদীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বড়চাপা মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বড়চাপা মৌজার ১৩ শতাংশ জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। ২০১৬ সালে ওই সম্পত্তির দাবিদার ফজিলাতুন্নেছা নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নালিশি সম্পত্তি নিয়ে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালত ওই সম্পত্তিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। পরদিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পক্ষে উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার জন্য নোটিশ দেন।
সম্প্রতি কাইয়ূম মিয়া নালিশি সম্পত্তিটির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে তা দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে তিনি একটি টিনের দোচালা ঘরও নির্মাণ করেছেন।
ওই সম্পত্তির দাবিদার ফজিলাতুন্নেছা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর তার পৈতৃক ১৩ শতাংশ জমির কিছু অংশে বাড়িঘর নির্মাণ করেন তিনি। বাকি অংশে গাছপালা রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ২০১৬ সালে ওই সম্পত্তির গাছপালা কেটে নেওয়ার হুমকি দিলে কাইয়ূম মিয়া, মাহফুজা ও জরিনা খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালত স্থিতাবস্থা জারি করে।
এ বিষয়ে কাইয়ূম মিয়াকে ফোন করা হলে তার স্ত্রী কামরুন্নাহার বলেন, ‘আমরা জোর করে কারও সম্পত্তি দখল করিনি। ফজিলাতুন্নেসা ২০০৯ সালে আকবর আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ওই জমি বিক্রি করেছেন। তার কাছ থেকে ২০১২ সালে আমরা এ জমি কিনে ভোগ দখলে গিয়েছি। তা ছাড়া ওই জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করার পর আদালতের নিষেধাজ্ঞা এসেছে।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ‘জমি নিয়ে বিবাদের বিষয়টি আমাদের নজরে নেই। অভিযোগ জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’