হোম > ছাপা সংস্করণ

সরিষা আবাদে চাষির আগ্রহ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে উচ্চ ফলনশীল সরিষার আবাদ করেছেন চাষিরা। ডিজেল, সারসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় আমন এবং বোরোর মাঝামাঝি সময়ে বাড়তি ফসল হিসেবে এই সরিষার আবাদ করছেন চাষিরা।

কৃষকেরা জানান, ১ বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা খরচ করে বিঘায় ৮ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। দেশি জাতের টরি-৭ এর চেয়ে বারি ৯, বারি-১৬ এবং বারি-১৭ জাতের সরিষার ফলন দ্বিগুণ হয়। বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অন্ন ফসল না করে চাষিরা সরিষার আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, আমন চাষের পর জমিতে যে সার থাকে তা দিয়ে বোরোর আবাদ পর্যন্ত মাটিতে বাড়তি কোনো সার দিতে হয় না, সেচও লাগে না। আমন কাটার পরেই বোরো চাষ শুরুর আগ পর্যন্ত ৬০ দিনের মধ্যেই বাড়তি ফসল হিসেবে এই সরিষার ফলন পেতে যাচ্ছেন চাষিরা।

দেবীগঞ্জ উপজেলার শান্তিনগর এলাকার চাষি শাকিল খান এ বছর ১০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভুট্টা সহ অন্য আবাদ বাদ দিয়ে সরিষার আবাদ করেছেন তিনি। বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা খরচ করে সর্বোচ্চ ৮ মণ পর্যন্ত সরিষার ফলনের আশা আশা করছেন তিনি।

একই এলাকার চাষি মো. ইউসুফ আলী এবার ২ বিঘা জমিতে দেশি টরি ৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেশি থাকায় তাঁর উৎপাদিত জমির সরিষা মাড়াই করে তিনি নিজেই ব্যবহার করবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, জেলায় তৈল বীজ জাতীয় ফসল উৎপাদনের পরিধি দিন দিন বাড়ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষাসহ বিভিন্ন তেলবীজ জাতীয় ফসল উৎপাদন হচ্ছে। চাষিদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার, বীজসহ নানা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ