অতিবর্ষণ ও কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো মাগুরার মহম্মদপুরের বাবুখালী ইউনিয়নের কোমরপুর ও দাতিয়াদাহ পূর্বপাড়া মাঠে। এতে ওই এলাকার অনেক জমি অনাবাদি থাকত। অবশেষে গ্রামের লোকজন মিলে জলাবদ্ধতা সমাধানে বন্ধ ৩ ফুট প্রস্থ একটি নালার খনন কাজ শুরু করেন।
গত সোমবার সকালে দাতিয়াদাহ গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন মিলে সেচ্ছাশ্রমে পুরোনো বন্ধ নালাটি পরিষ্কার করে খনন শুরু করেন। এতে দুই গ্রামের তিন শতাধিক কৃষকের প্রায় কয়েকশ একর জমি রক্ষা পাবে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন, ব্রিজ ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, খেতের সবজি, পান, ধান পানিতে ডুবে আছে। অনেক স্থানে খালের মধ্যে জাল ও বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কোথাও খালের মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে কালভার্ট ও সেতু তৈরি করা হয়েছে। অনেক এলাকায় খাল-বিলে বালু ফেলে ভরাট করে ভবন তোলা হয়েছে।
দাতিয়াদাহ গ্রামের আল রোমান জানান, জলাবদ্ধতার কারণে অনেকে ধান চাষ করতে পারেন না। এখন থেকে পেঁয়াজ, রসুন ও গম চাষ করা যাবে।
বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীরা কয়েক মাস আগে দরখাস্তের মাধ্যমে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো সমাধান মিলেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, ওই এলাকার জমিগুলো নিচু। একটু বৃষ্টি হলেই জমিগুলো ডুবে যায়। পানি বের হওয়ার জায়গাগুলো সব বন্ধ করে দেওয়ার ফলে কিছু জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করেছেন।