ঢাকার দোহার উপজেলায়ও সয়াবিন তেলের দাম আরও বাড়তে পারে এ শঙ্কায় অনেকেই প্রয়োজনের বেশি করে তেল কিনে রাখছেন। এ কারণে অনেক দোকানে দেখা দিয়েছে তেলের সংকট।
বিক্রেতারা জানান, তাঁরা আগে যে দামে তেল কিনতেন, এখন তার চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করছেন বেশি দামে।
তবে কিছুদিন ধরে তেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিনছেন। অনেক ক্রেতা জানান, সামনে রমজান মাসে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে, এ শঙ্কায় আগেই কিনে রাখছেন। আর এ কারণেই দোকানে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দোহার উপজেলায় বেশ কয়েকটি দোকানে রয়েছে সয়াবিন তেলের সংকট। দোকানিরা বলছেন, সময়মতো আমরা তেল আনতে পারছি না। আবার বেশি দাম দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে। তা ছাড়া লোকজন তেলের দাম বৃদ্ধি ও রমজানকে কেন্দ্র করেও বেশি বেশি তেল নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জয়পাড়া বাজারে দোকান থেকে তেল কিনতে আসা সুজন হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম যেভাবে বাড়াচ্ছে সামনে কী হয় জানি না। আবার আগামী মাসেই রোজা, সে জন্য একটু বেশি তেল নিয়ে রাখছি।’
জয়পাড়া বাজারে স্বপ্নের বিক্রয়কর্মী অরিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে যত তেল ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। এমনকি আমাদের মজুত যত তেল ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে।’
কার্তিকপুর বাজারে পাইকারি তেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাসেল হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে যে দাম তাতে সাধারণ জনগণের পক্ষে তেল কিনে খাওয়া সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। আমরা পাইকারি যে দামে তেল কিনে আনি, তার থেকে কিছু লাভে বিক্রি করি। তবে সরকার পদক্ষেপ নিলে হয়তো এমন পরিস্থিতি আর থাকবে না।’
এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘আমরা যেখান থেকে পাইকারি তেল আনি সেখান থেকেও চাহিদামতো তেল দিতে পারছে না। সে জন্য তেলের দাম বেড়েছে।’
এ বিষয়ে দোহার উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমরা বাজার মনিটরিং করব, পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। তেলের গায়ে লেখা দামে তেল বিক্রি করতে হবে। কেউ বেশি দাম বিক্রি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’