নগর উদ্যানে উদ্বোধন করা হলো কুমিল্লা জাদুঘর। গতকাল বৃহস্পতিবার জাদুঘরের উদ্বোধন করেন কুমিল্লার সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু।
এ সময় মেয়র সাক্কু বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরবে কুমিল্লা জাদুঘর। শহরের জীবনে গ্রামীণ অনেক পুরোনো জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে। এসব জিনিস পত্র এ জাদুঘরে আছে। প্রযুক্তির কারণে শিশুরা কৃষি যন্ত্রপাতি, ঢেঁকি, হারিকেন এসবের নামও জানে না। তারা জাদুঘরে এলে এগুলো দেখে জানতে পারবে, শিখতে পারবে।
জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকবে। কুমিল্লা জাদুঘরে রয়েছে তৈজসপত্র, পুরোনো ২৫০টি মডেলের তালা, টেপ রেকর্ডার, হাতি, উট ও মহিষের শিং, লাঙল, জোয়াল, মাছ ধরার চাঁই, পুরোনো দা,৫০ বছর আগের ইট, শিলা। আছে কলের গানের যন্ত্রপাতি, ঢেঁকি, সুপারি কাটার ছড়তা, হারিকেন, লাউয়ের ডুগডুগি, পাললিক শিলা, হুক্কা, ঘোড়ার চামড়ার আসন, নান চাকু, পুরোনো ক্যামেরা ও খড়ম। এ ছাড়া
পুরোনো রেডিও সেট, টেলিফোন সেট, গরুর কাইর, হরিণের মাথা, পুরোনো দিনের ক্যামেরা, শ্রমিকদের কাজের লোহার সরঞ্জাম, পিতলের ডেগসহ চার শতাধিক হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম দেখার সুযোগ রয়েছে জাদুঘরে।
জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা স্কুলশিক্ষক নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে প্রাচীন জিনিসপত্র জমাতে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করতে বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। গত ৩০ বছরের পরিশ্রমে এ জাদুঘর। নাম দিয়েছি কুমিল্লা জাদুঘর। গত চার বছর ধরে জাদুঘরটি নিজ বাসায় ছিল।