হোম > ছাপা সংস্করণ

শিক্ষার্থীদের বরাদ্দের খাবার পাঠানো হয় বাইরে

আরাফাত রহমান অভি, শেকৃবি

প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থী, হলসংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার (ফিস্ট) পরিবেশনের আয়োজন করা হয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ জনপ্রতি অর্থ বরাদ্দ দেয়; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও এ বাবদ ফি নেওয়া হয়।

তবে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত খাবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হয়। ফলে প্রতিবছরই খাবারের মান কমছে। এতে আসছে বিজয় দিবসে খাবারের মান আরও কমার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, প্রভোস্ট, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জনপ্রতি ৩৭৫ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ অর্থ বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কুপন ফি বাবদ ৫০ টাকা নেওয়া হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কুপন ফি বাবদ টাকা নেওয়া হলেও, হল কর্তৃপক্ষ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জন্য বিনা মূল্যে এই কুপন সরবরাহ করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই সময় প্রতিটি হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জন্য বিনা মূল্যে ১৫০-২০০টি কুপন সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া প্রতি হলেই বিক্রীত কুপনের চেয়ে ২৫০-৪০০ প্যাকেট খাবার বেশি করা হয়েছে। অতিরিক্ত এই খাবারের প্যাকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, প্রশাসনিক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, সাবেক হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসায় সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে।

চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত খাবার থেকে ডিম, সবজি, মুগডাল ও কমলা বাদ দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় গতবার খাবারে কিছু আইটেম কম দেওয়া হয়েছে। তবে আসছে বিজয় দিবসে আইটেম বাড়ানোর চেষ্টা করব।’

বাড়তি প্যাকেট করার ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘রীতি অনুযায়ী হলের সাবেক প্রভোস্ট, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হলে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হয়। আমরা সেটা করতে পারি না, তাই তাঁদের জন্য খাবার পৌঁছে দিই।’

তবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিনা মূল্যে টোকেন ও খাবার সরবরাহের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ