কয়েক দিন পরেই বড় ভাইয়ের বিয়ে। গায়েহলুদে যাবে বলে শাড়ি কিনেছিল প্রীতি সাহা। কিন্তু বিয়ে আর গায়েহলুদের আগেই বিদায় নিতে হলো তাকে। ৬ জানুয়ারি কলেজে যাওয়ার পথে ইজিবাইক থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় সে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে প্রীতি মারা যায়। শেষ বিদায়ে তার গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় হলুদরাঙা সেই শাড়ি।
প্রীতি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক তপন কুমার সাহার মেয়ে। সে সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত।
বাবা তপন কুমার সাহা জানান, ৬ জানুয়ারি কলেজে যাওয়ার পথে ফারাসপুর বটতলা নামক স্থানে ইজিবাইক থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় প্রীতি। এরপর নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে তাকে যশোর, পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাথায় অপারেশনও করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাতে মারা যায়।
প্রীতির ভাই সবুজ কুমার সাহা বলেন, ‘আমার বিয়ে উপলক্ষ করে ছোট বোন খুব আনন্দ করছিল। গায়েহলুদে যাবে বলে শাড়ি কিনেছিল কিন্তু তার আগেই বোনকে চলে যেতে হলো। তবে শেষ বিদায়ের আগে তার গায়ে কেনা পছন্দের হলুদ সেই শাড়ি জড়িয়ে দেওয়া হয়।