হোম > ছাপা সংস্করণ

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জাল সনদ ও তথ্য গোপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সোনাখালী পিকে মোহসিনিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সিহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে জাল সনদের বিষয়ে সত্যতা পাওয়ার পরেও তিনি বহাল রয়েছেন বলে জানা গেছে। অসাধু উপায় অবলম্বনের বিচার ও অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন পিকে মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. তৈয়াবুর রহমান সেলিম। এমনকি বাগেরহাট জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়মিত মামলাও হয়েছে এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালের হাদিস বিভাগে কামিল পাশের সনদ দাখিল করে ১৯৮৯ সালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার খারইখালী আহম্মাদীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার পদে চাকরি নেন অধ্যক্ষ মো. সিহাব উদ্দীন। একই পদে ওই প্রতিষ্ঠানে ১২ বছর কর্মরত ছিলেন তিনি। পরে স্থানীয়রা জানতে পারেন তাঁর জমা দেওয়া কামিল পাসের সনদটি জাল। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাল সনদের বিষয়ে তদন্ত করে। তদন্ত প্রতিবেদনে সনদটি ভুয়া বলে উল্লেখ করা হয়। বেতন হিসেবে নেওয়া সব অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশও করা হয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে। কিন্তু পরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পরে ২০১০ সালে শিক্ষা পরিদর্শক ও ২০১৮ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবারও তদন্ত করেন। উভয় তদন্তে সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ এ বছরের ৭ জুন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম শিকদার নামের এক ব্যক্তি বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সুরাইয়া সিদ্দিকা বলেন, অধ্যক্ষ মো. সিহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি আদালত আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. তৈয়াবুর রহমান সেলিম বলেন, অধ্যক্ষ মো. সিহাব উদ্দীনের জালিয়াতিতে তাঁরা অতিষ্ঠ। জালিয়াতির জন্য ২০১৫ সালে অধ্যক্ষ মো. সিহাব উদ্দীনকে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরে আবারও চাকরিতে বহাল হন তিনি।

মাদ্রাসার স্থায়ী দাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম শিকদার বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন দুর্নীতিবাজ প্রধান থাকলে আমাদের সন্তানরা কী শিখবে? আমরা দুর্নীতিবাজ এই অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচার দাবি করছি।’

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. সিহাব উদ্দীন বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তিনি ১৯৮৫ সালের কামিল পাসের সনদ নিয়ে চাকরি করিনি। এরপরেও মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. তৈয়াবুর রহমান সেলিমসহ তাঁর আত্মীয়স্বজন অন্যায়ভাবে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন। আদালতের মামলা খারিজ হওয়ার পরও তাঁকে যোগদান করতে দেয়নি। মূলত নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, পিকে মোহসিনিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সিহাব উদ্দীনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। মামলায় যে আদেশ হবে, সেই অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ