হেডিংলি টেস্টে পিঠে অস্বস্তি নিয়ে বল করতে হয়েছে ওলি রবিনসনকে। তবে চোট এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, ইংলিশ পেসারের হাতে তৃতীয় ইনিংসে আর বল তুলে দেননি অধিনায়ক বেন স্টোকস। প্রথম ইনিংসে যে ১১ ওভার বোলিং করেছেন, ছিলেন উইকেটশূন্য। লর্ডস টেস্টের আগুনের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি হেডিংলি টেস্টে। তবে নিজেদের বেশ ‘পয়া’ হয়ে ওঠা এ মাঠেই অ্যাশেজ বাঁচিয়েছে ইংল্যান্ড।
প্রথম দুই টেস্টে রোমাঞ্চ জাগানো হারের পর হেডিংলিতে প্রাণ বাঁচানো স্টোকসদের চোখ এখন সিরিজে সমতায় ফেরার দিকে। কারণটা অনুমেয়। আজ থেকে শুরু ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে হার মানে এক ম্যাচ বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়ার হাতে অ্যাশেজ তুলে দেওয়া। আর ইংল্যান্ডের মাঠে তাদের উদ্ভাবিত ‘বাজবলের’ এপিটাফ লিখে সোল্লাসে অজিদের ঘরে ফেরা।
তবে উজ্জীবিত ইংল্যান্ডের সামনে কাজটা বেশ কঠিনই হবে সফরকারীদের। বিশেষ করে দলে ফেরা জেমস অ্যান্ডারসনকে সামলানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে দুই অজি ওপেনার উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। নতুন বলে ‘সুইং মাস্টার’ কেমন ভয়ংকর, সেটি কারও অজানা নয়। ম্যানচেস্টারে জিমির পরিসংখ্যানই সেটার সাক্ষ্য দেয়। এ মাঠে ২০ টেস্টে ৩৭ উইকেট তাঁর। প্রথম দুই টেস্টে অবশ্য খুব বেশি নিজের নামের সুবিচার করতে পারেননি। শতভাগ ফিট নন রবিনসন আর টেস্টটা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বলেই অ্যান্ডারসনের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছেন ইংল্যান্ডের নির্বাচকেরা।
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের আগে ১০ দিন বিশ্রাম পেয়েছে দুই দল। তবে তাতেও লর্ডস টেস্টে জনি বেয়ারস্টোর সেই রানআউট বিতর্ক থামেনি। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের আগে সেটা আবার মনে করিয়ে দিলেন নাথান লায়ন। অজি স্পিনার জানিয়েছেন, দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে বেয়ারস্টোর বিতর্কিত স্ট্যাম্পিংয়ে মধ্যাহ্নভোজের সময় তপ্ত হয়ে ওঠেছিল খেলোয়াড়দের খাবার কক্ষও।
আগের তিন টেস্টে ব্যর্থ হয়েছেন ডেডিভ ওয়ার্নার। অজি ওপেনারকে বাদ দেওয়ার কথা উঠেছিল। তবে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ওপরে আস্থা রাখছেন প্যাট কামিন্স। ওয়ার্নারকে সবুজ সংকেত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি মনে করি সে ভালো করবে।’