ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী হত্যার ঘটনায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনের কাছ থেকে এখনো সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ঠিক কী কারণে এলমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি। তাই দ্বিতীয় দফায় তাঁর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে ইফতেখারের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা বনানী থানার পুলিশের উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, পলাতক দুই আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি; ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আরও কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে ইফতেখারকে।
বনানী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ আসামিরা তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করতে বলেছিল, কিন্তু ভুক্তভোগী তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করতে রাজি না হলে প্রথমে তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয়, এরপরও ভিকটিম পড়ালেখা চালিয়ে যান।’
এদিকে এলমা চৌধুরীকে হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেছেন তাঁর পরিবার ও শিক্ষক-সহপাঠীরা। এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
১৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান ঢাবি ছাত্রী এলমা চৌধুরী।