হোম > ছাপা সংস্করণ

তবু বিসিবির কাছে টেস্টের গুরুত্ব কম

রানা আব্বাস, ঢাকা

আগামী ৭ জুন ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের ফাইনাল সামনে রেখে গত পরশু প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে আইসিসি। তাতে বাংলাদেশের অর্থযোগ নেহাত মন্দ নয়। গত চক্রের মতো এবারও পয়েন্ট তালিকায় শেষ চার দলের একটি হয়ে বাংলাদেশ প্রাইজমানি হিসাবে পেয়েছে ১ লাখ ডলার বা কোটি টাকা।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের টানা দুটি চক্রে বাংলাদেশের বিশেষ কোনো উন্নতি নেই। এ প্রতিযোগিতার পয়েন্ট তালিকা দেখে যদি মন খারাপ হয়, আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের বাংলাদেশের অবস্থান সাকিব-তামিমদের মুখে চওড়া হাসি এনে দিয়েছে। গত তিন বছরে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলে টেবিলের তিনে থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় তারা পেছনে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তানের মতো দলকে। বাংলাদেশ একই সময় দুটি আইসিসির প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একটিতে সবার নিচে আবার আরেকটিতে শীর্ষ তিনে। এই চিত্র দেখে বোঝা কঠিন, বাংলাদেশ ক্রিকেটে এগোচ্ছে না পেছাচ্ছে!

দুই সংস্করণে দুই অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কতটা উদ্বিগ্ন—প্রশ্নটি গত পরশু করা হয়েছিল বোর্ডপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে। গুলশানে ক্রিকেট সমর্থকদের সংগঠন বিসিএসএর অনুষ্ঠান শেষে আজকের পত্রিকাকে পাপন বলেছেন, ‘টেস্টে তো আমরা খারাপই, এটা জানি।’ এখানে উন্নতি করতে বিসিবি যে এখন খুব একটা তৎপর হচ্ছে না, সেটিও বললেন পাপন, ‘এখনো না (উন্নতি করতে পরিকল্পনা), সামনের বছর আমরা টেস্ট নিয়ে কাজ শুরু করব। এখন ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি... (সংস্করণে বেশি মনোযোগ)।’

বিসিবির অগ্রাধিকার তালিকায় এখন সাদা বল বিশেষ করে ৫০ ওভারের ক্রিকেট থাকার একটাই কারণ—সামনে দুটি বড় টুর্নামেন্ট।ভারতে অনেকটা চেনা কন্ডিশনে অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইছে বিসিবি। এ লক্ষ্যে এগোতে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেট যে আপাতত পেছনে পড়ছে, সেটি অকপটেই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

অবশ্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ধারাবাহিক ভালো করা দলগুলো সাদা বলের ক্রিকেটেও যথেষ্ট সফল। বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সুপার লিগেও সবার ওপরে। শুধু বিসিবি সভাপতিই নন, ক্রিকেটারদের ভাবনাতেও সাদা বলের জন্য জায়গাটা বেশি। এ বাস্তবতা সামনে এনেছেন বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ‘এখন চ্যালেঞ্জ আরও বেশি হবে, টি-টোয়েন্টির যুগ তো, সাদা বলের ক্রিকেটে আগ্রহটা সবার একটু বেশি। এটাও ঠিক, যারা টি-টোয়েন্টিতে সফল, তারা লাল বলের ক্রিকেটেও ভালো খেলে।এটা আমাদের ক্রিকেটারদের বোঝানোর চেষ্টা করি।’

একটা সময় বাংলাদেশ আফসোস করত পর্যাপ্ত টেস্ট খেলতে না পারায়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো প্রতিযোগিতা আসায় এখন বাংলাদেশ বছরে গড়ে ৮-১০টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে থাকে। তবু এখানে বলার মতো উন্নতি নেই। ২০১৯-২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ ৭ টেস্ট খেলে একটিও জিততে পারেনি। ২০২১-২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ ১২ টেস্টে জিতেছে ১টিতে। এ চক্রে বড় প্রাপ্তি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়।

টেস্টে উন্নতি করতে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কাঠামো পরিবর্তনে বছর দু-এক আগে বিসিবিকে বিশেষ প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রস্তাব বাস্তবায়ন না হওয়ায় একটু হতাশ তিনি, ‘আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ভালো কোনো কাঠামো আছে? আমি একটা প্রস্তাব দিয়েছি, সেটা নিয়ে প্রতি বছর আলোচনা হয় কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। ৪৮ ঘণ্টা আগে কোচ ঠিক করি আমরা। কোনো বিভাগে আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কাঠামো আছে? অন্তত দুই বছরের জন্য প্রতিটি বিভাগের একটা টিম ম্যানেজমেন্ট তো থাকা উচিত। আমাদের ক্লাব ক্রিকেট যেভাবে সংগঠিতভাবে হয়, লাল বলে সেটা আরও বেশি হওয়া উচিত।’

২০১৫ থেকে ২০২২ এই সাত বছরে আইসিসির লভ্যাংশ আর টেস্ট তহবিল থেকে বিসিবি পেয়েছিল ৫৫১ কোটি টাকা। বিসিবি সভাপতি এ বছর টেস্টে বিশেষ মনোযোগ দিতে না চাইলেও টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আইসিসি থেকে পাওয়া বড় অঙ্কের রাজস্ব বিসিবির অ্যাকাউন্টে কিন্তু ঠিকই ঢুকে গেছে বা যাবে। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ