বরেণ্য লেখক হুমায়ূন আহমেদের ঘেটুপুত্র কমলা সিনেমায় অনেকে ঘেটুপুত্র কমলাকে দেখেছেন। তবে এ যুগের ঘেটুপুত্র কমলা রানীর কাহিনি কিছুটা ভিন্ন।
বিনোদনের অন্তরালে রয়েছে অনেক দুঃখগাথা। বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার উত্তর পালরদী গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর সাদেক হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম শিপন (২৫)। তিনি এখন ঘেটুপুত্র কমলা রানী নামে সবার কাছে পরিচিত। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট শিপন। অসুস্থ বাবা-মা আর ছোট বোনকে নিয়ে চার সদস্যের সংসাররে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি শিপন। বিভিন্ন সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বলে পেশা বদলাতে চান তিনি।
শীতের সময় গ্রামগঞ্জে এখনো গাজী-কালু-চম্পাবতী মঞ্চনাটক করতে দেখা যায়। সেই মঞ্চনাটকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ঘেটুপুত্র কমলা রানী সেজে অভিনয় শুরু করেন শিপন। পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে শিপন মেয়ে সেজে মানুষকে বিনোদন দিয়ে আসছেন। তাঁর আয় দিয়ে চলে বাবা-মার চিকিৎসা ও সংসারের খরচ। এটাই এখন শিপনের রোজগারের একমাত্র পথ।
শিপন বলেন, ‘পেটের দায়ে এ পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। পনেরো বছর নিজের দুঃখ-কষ্ট চেপে রেখে মানুষকে বিনোদন দিয়ে আসছি। কিন্তু এখন অন্য কাজ করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। কারণ বিভিন্ন সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। মেয়ে ভেবে প্রায়ই বিয়ে বা প্রেমের প্রস্তাব দেন অনেকে।’