চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের উন্নয়নকাজ চলছে জোরেশোরে। দেশের সর্বশেষ স্থলবন্দর চুনারুঘাট উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী কেদারাঘাট ও কাটানীপাড় এলাকা। এখানেই বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের ২২তম স্থলবন্দর। ফলে সম্ভাবনার একধাপ এগিয়ে যাবে চুনারুঘাট–এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
চলতি মাসের ৭ অক্টোবর থেকে ২৫ কোটি টাকার স্থলবন্দরের আবাসিক প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নকাজ শুরু করা হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বাল্লা স্থলবন্দর উন্নয়নকাজের অগ্রগতি ও মালামালের গুণগত মান যাচাই-বাছাই পরিদর্শন করে গেছেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন ও মেহেদী হাসান জোয়ার্দার। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সনিক্স ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মেজবাহ উদ্দিন ও আব্দুর রাজ্জাক।
রুহুল আমিন বলেন, ‘কাজের গতি ও গুণগত মান ভালো করতে ইঞ্জিনিয়ারিং ফর্মুলা যত ধরনের রয়েছে, আমরা সেটা শতভাগ প্রয়োগ করব। স্থলবন্দরের উন্নয়নকাজে গুণগত মান বজায় রাখতে মানসম্পন্ন সিমেন্ট ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। তারপরও আমরা পাথর দেওয়ার জন্য বুয়েটে পরীক্ষা করতে নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবাসিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে শুরু হবে ধারাবাহিক উন্নয়নকাজ। এই স্থলবন্দরের উন্নয়নকাজ শেষ হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের অঞ্চল হবে চুনারুঘাট উপজেলা। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধান্ত বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে জানান, দ্রুতগতিতে বাল্লা স্থলবন্দরের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে উপজেলা উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।