হোম > অপরাধ

মিথ্যা বলা মহা অপরাধ

মুনীরুল ইসলাম

মিথ্যা কঠিন অপরাধ। আল্লাহ তাআলা মিথ্যাবাদীকে অপছন্দ করেন। কোরআন-হাদিসে মিথ্যাবাদীর ভয়ানক পরিণতির কথা বলা হয়েছে। একটি মিথ্যাকে সত্য প্রমাণ করার জন্য হাজারো মিথ্যা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে হয়। এরপরও মিথ্যা কখনো সত্য হয় না। যারা মিথ্যাচার করে বেড়ায় তারা সংসারে, সমাজে এবং রাষ্ট্রে মহাদুর্যোগ সৃষ্টি করে। মিথ্যাবাদীর পাল্লায় পড়ে অনেক নিরীহ মানুষ প্রতারিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মিথ্যাবাদীর ওপর আল্লাহ তাআলার অভিশাপ বর্ষিত হয়।

মিথ্যা বলা সব পাপাচারের মূল এবং মুনাফেকের লক্ষণ। মিথ্যা বলে বেচাকেনাকারীর সঙ্গে বিচারের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। হাসি-রসিকতা কিংবা স্বাভাবিক অবস্থা—মিথ্যা সব সময় হারাম ও অবৈধ। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলাতেও মিথ্যা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কারণ, এটা বাচ্চাদের অন্তরে গেঁথে যায়।

মহানবী (সা.) মিথ্যা বলতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মিথ্যা তো তারাই বানায় যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের ওপর ইমান রাখে না। বস্তুত তারাই মিথ্যাবাদী।’ (সুরা নাহল: ১০৫) মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে তাই বলে বেড়ায়।’ (মুসলিম)

মিথ্যা বলার পরিণাম খুবই ধ্বংসাত্মক। এর জন্য দুনিয়াতে রয়েছে ধ্বংস আর আখেরাতেও রয়েছে অপমান-লাঞ্ছনা। মিথ্যার কারণে অন্তরে কপটতার সৃষ্টি হয়। মিথ্যাবাদীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় না। মিথ্যার কারণে দুনিয়া ও আখেরাতে চেহারা বিবর্ণ ও মলিন হবে। বিচার দিবসে মিথ্যাবাদীর চোয়াল চিরে গর্দান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ধ্বংস তার জন্য, যে লোক হাসানোর জন্য কথা বলে এবং এতে সে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ধ্বংস তার জন্য, ধ্বংস তার জন্য।’ (তিরমিজি)

মুনীরুল ইসলাম, ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ