কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বাড়ছে শীত। দিনের বেলায় শীত তেমন একট অনুভূত না হলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের বেশ তীব্রতা অনুভূত হয়।
সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ জনপদ। আছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়ে, যা সকাল ৮টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার শাপলা চত্বরে গেলে দেখা হয় হাসেম আলীর (৬৫) সঙ্গে। তার বাড়ি সদর ইউনিয়নের বামনেরচর গ্রামে।
তিনি শ্রম বিক্রি করা জন্য সকালে এখানে এসেছেন। হাসেম আলী বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাজের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঠান্ডার কারণে সকালে উঠতে পারি না। সময় মত আসতে না পারলে সেদিন আর কামলা দেওয়া হয় না। জিনিস পত্রের যে দাম গরম কাপড় কেনা নিয়ে চিন্তায় আছি।
শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এবার আগাম শীত পড়ছে। ফলে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে এই এলাকার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন বয়সী রোগী। শীত নিবারণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।