মানসিক অশান্তির মূলে আছে নিজের কিছু অভ্যাস। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাহিদা সীমিত রেখে নিজের মতো কাজ করে যেতে হয়। নেতিবাচক আচরণ ও অতিরিক্ত সহ্যক্ষমতার কারণে উটকো ঝামেলাও আনা যাবে না জীবনে। তাই কিছু অভ্যাস বদলে ফেললে অনেকটা ঝামেলামুক্ত থাকা যায়। যা বদলাবেন-
নেতিবাচক চিন্তা
সুখী হওয়ার আলাদা কোনো ব্যাকরণ নেই। তবে কিছু দিক আছে, যা মানলে অনেকটা স্বস্তি মেলে। তেমনই একটি দিক হলো নেতিবাচক চিন্তা বাদ দেওয়া। সবকিছুকে ইতিবাচকভাবে মেনে নিন। নেতিবাচক মনোভাব আপনাকে ভেতর থেকে কুরে কুরে খাবে। রোজ সকালে সূর্য ওঠে, পাখি গান গায়, পৃথিবীতে অসংখ্য ফুল ফোটে। আপনার চারপাশে অসংখ্য ইতিবাচক ঘটনা ঘটে। সেগুলোকে খুঁজে নিন। নিজের ভেতর ইতিবাচক শক্তি তৈরি করুন।
অসততা
নিজের কাছে সৎ থাকার মতো শান্তি পৃথিবীতে আর অন্য কিছুতে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কথায় ও কাজে সৎ থাকার চেষ্টা করুন। এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না, যা রাখার ক্ষমতা আপনার নেই। এমনভাবে সামনে এগিয়ে যান, যেন নিজের করা ভুলের জন্য কখনো অনুশোচনা করতে না হয়। এতে দিন শেষে মানসিক শান্তি পাবেন। নিষ্ক্রিয়তা
সফল হতে হলে আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। অকর্মণ্য ও নেতিবাচক মানুষ সফল হবে—এমন ভাবাটা বোকামি। তাই অলসতা কাটিয়ে উঠুন। নিজের কাজগুলো গুছিয়ে করার চেষ্টা করুন।
নিজের প্রতি অবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাসহীনতা একটি নেতিবাচক ধারণা। নিজেকে বিশ্বাস করুন। আপনাকে দিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব, নিজের ওপর সে বিশ্বাস আনুন। যে কাজই করুন না কেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করুন। দেখবেন কথায় ও কাজে আরও পরিপক্ব হয়ে উঠেছেন।
অন্যকে তিরস্কার
অযথা কাউকে তিরস্কার করা, ছোট করার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। এগুলো মোটেও ভালো আচরণ নয়। অন্যের সফলতা দেখে হিংসা না করে, তার সফলতাকে মেনে নিতে শিখুন। ভালো কাজের জন্য অন্যদের প্রশংসা করুন। মোটকথা আরও উদার হতে শিখুন।
সূত্র: ১০০০+ লিটল থিংস